বইমেলায় ডা. এমরানের ‘আইনস্টাইন কিংবা কোয়াসারের গল্প’

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এ পাওয়া যাবে ডা. এমরান আহমেদের লেখা বই ‘আইনস্টাইন কিংবা কোয়াসারের গল্প’। এটি লেখকের সপ্তম বই। অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। এর শুভেচ্ছা মূল্য ধরা হয়েছে ২০০ টাকা।

বইয়ের উপজীব্য নিয়ে তরুণ এ লেখক ঢাকা মেইলকে বলেন, কিছুদিন আগে এক প্রাগতৈহাসিক ধূমকেতু আমাদের পৃথিবী ও সূর্যের অনেক কাছাকাছি চলে এসেছিল। সম্প্রতি ভারতের লাদাখের আকাশে দেখা গেছে এই সবুজাভ ধূমকেতুকে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, শনির অন্যতম প্রধান চাঁদ (উপগ্রহ) এনসেলেডাসের বরফের পুরু আস্তরণের নিচে রয়েছে প্রবাহমান সাগর। সম্প্রতি ন্যাচার এস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী সম্ভবত এনসেলেডাসের এই সাগর বেশ দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাহমান। যে কারণে এখানে প্রাণ সৃষ্টি হবার মতো যথেষ্ঠ সম্ভবনা রয়েছে। 

কোয়াসার হলো মহাকাশে অবস্থিত এক রহস্যময় জ্যোতিষ্ক। এরা কিন্তু নক্ষত্র নয়, অথচ বিপুল আলো নিঃসরণ করতে পারে। মহাকাশে অবস্থিত কোয়াসারগুলো কখনও কখনও এতটাই উজ্জ্বল হয়, এরা যে গ্যালাক্সিতে অবস্থান করে অনেক সময় সেই গ্যালাক্সিকেই এদের উজ্জ্বলতার কারণে দেখা যায় না। এমন একটি সময় কি আসতে পারে যখন আমাদের এই পৃথিবী তার অন্তিমদশায় পৌঁছাবে?

সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন এমন একটি বাহ্যগ্রহ বা এক্সোপ্ল্যানেট, যার গতিপথ এবং সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করে তাঁরা পৃথিবীর অন্তিমমুহূর্ত অনুধাবন করতে পারবেন।

বইটিতে এসেছে মহান বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কথা। তিনি ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত তাত্ত্বীয় পদার্থবিদ। আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন, বিজ্ঞান মানুষের কল্যাণের জন্য, মানবতাকে ধ্বংস করার জন্য নয়। বিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের পরও অনেকেই তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বিস্ফোরণের জন্য দায়ী করে থাকেন। এমন দাবির পেছনে আসলে কতটুকু যুক্তিযুক্ত গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে?